পৃথিবীতে এখন মনে হয় খারাপ মানুষের বসবাসই বেড়ে চলেছে, তাই বলে কি সত সাহসী মানুষ নেই?? আছে!! অলিতে গলিতে থেকে তারা চমতকার দৃষ্টান্ত তৈরি করেন। তাদের খোজে পাওয়া যায় এমন সব বিরল কাজের ভেতর। যা মানুষ কে উদ্বোদ্ধ করে সৎ, সাহসী কাজে। লজ্জা দেয় ওইসব লুলাদের, যারা অঢেল টাকার পাহাড় গড়েছেন, কিন্তু কাজের বেলায় তারা মাটির সাথেই লেগে থাকেন। তাদের আছে অঢেল সম্পদ কিন্তু তারা এতটাই লোভী যে তাদের কে দাতার চেয়ে ফকিন্নি আবদারেই বেশি দেখা যায়।
যাক মুল কথায় আসি....
সম্প্রতি এক দরিদ্র অটোরিক্সব চালক এমনই এক দৃষ্ঠান্ত তৈরি করেছেন, তার নাম বাহাদুর। নামের সাথে তিনি বাহাদুরি কাজ করেই দেখিয়ে দিয়েছেন সত্যিই তিনি বাহাদুর। কেবল নামেই নয়, কাজেও।
ঘটনাটা ঘটেছে শেরপুর জেলায়, একই জেলায় বাড়ি হওয়ায় প্রথমে মাথায় নিউজটা ক্রিয়া করল... আহারে এমন মানুষ আছে তাও আাবার একেবারেই কাছে। তার বাড়ি শেরপুর জেলা শহরের দুর্গা নারায়নপুর নাকপাড়া মহল্লায়। তার বাবার নাম মজনু মিয়া। ৬ ভাই-বোনের অভাবি সংসার হলেও সে অভাব তাকে গিলতে পারেনি।
কি করেছেন তিনি...
বাহাদুরের অটো-রিক্সায় শহরের খরমপুর মহল্লার মুঞ্জিল মিয়ার কন্যা পিংকির ভুলক্রমে ফেলে রেখে যাওয়া ভ্যানিটি ব্যাগের ভিতর প্রায় ৪০ হাজার টাকা মূল্যের ডিজিটাল ক্যামেরা ও নগদ ৪ হাজার টাকাসহ বিভিন্ন মূল্যবান গহনা ও কসমেটিক সামগ্রি হাতের নাগালে পেয়েও ওইসব মূল্যবান জিনিসপত্র শহরে মাইকং করে ফেরত দিয়ে দিয়েছেন।
পিংকি খুশি হয়ে বাহাদুরকে পুরস্কৃত করতে চাইলে বাহাদুর কোনো কিছু না নিয়ে শুধু মাত্র দোয়া চায়।
ছোটবেলায় একজনের কাছে গল্প শুনেছিলাম, বিদেশে কারো কিছু হারালে থানায় গেলেই পাওয়া যায়। কারণ সেই দেশের মানুষ পুলিশ সবাই সৎ। রাস্তায় কিছু পেলে থানায় জমা দিয়ে আসেন।
আমাদের দেশে এই ঘটনা কল্পনা করাটাও দুস্কর। জনগণ তো দুরের কথা পুলিশই এখন এসব কারবারের আসল ভক্ষক হয়ে ওঠেছেন।
বাহাদুর কে স্বাগত...সেই সাথে ফুলেল শুভেচ্ছা...
এমন দৃষ্টান্ত উপহার দেয়ার জন্য সত্যিই আরো কিছু প্রাপ্য
এই ঘটনা শিক্ষা হোক সবার ভেতর.. ক্রিয়া করুক সবার অন্তরে..

valo laglo...
ReplyDeletearo likhun