রোকন রাইয়ান : গত ষেপ্টেম্বরে বন্ধুঘরের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু। মাত্র তিন মাস
অতিক্রম করেছে। এত অল্প সময়ে কোনো কাজের মূল্যায়ন করা ঠিক নয়। তবু্ও মনে
চাচ্ছে বন্ধুদের সাথে কথাগুলো শেয়ার করি। ছবিগুলো শেয়ার করি সামুর
ব্লগারদের সাথে। সেই প্রেরণাতেই এই পোষ্ট। তাছাড়া অনেক দিন ধরে পোস্ট দেই
না। লেখার তেমন একটা সময়্ও পাচ্ছিনা দৈনন্দির কাজের চাপে।
ঘটনাটা আগে বলি। পূর্ব পরিকল্পিত কোনো প্লান নয়। অনেকটা হুটহাট করেই শুরু হয়েছিল। একটা ঘর সিকিউরিটি দিয়ে ভাড়ায় চালানো্ও আমাদের জন্য কষ্টকর ছিল। কিন্তু মনের আশা এবং সামাজিকতার দায়বদ্ধতা বলে কথা। রোজার ঈদের বেতন বোনাস দিয়ে ঘরের সিকিউরিটি, বুকসেলফ, টেবিল-চেয়ার, খাতা-কলমসহ আনুষঙ্গিক বিষয়-বস্তু সংগ্রহ করা হল। ছোটবেলা থেকে সংগ্রহ করা ১০০ বই নিয়েই শুরু হলো পাঠাগার। মাসিক ৫০০ টাকায় একজন গ্রন্থাগারিক ঠিক করা হলো। তিনি প্রতিদিন ৪ টা থেকে ৮ টা পর্যন্ত থাকবেন। একটি জাতীয় দৈনিকসহ ৫ টি মাসিক, একটি পাক্ষিক ও দুইটি সাপ্তাহিক পত্রিকা রাখার সিদ্ধান্ত হলো।
ঘটনাটা আগে বলি। পূর্ব পরিকল্পিত কোনো প্লান নয়। অনেকটা হুটহাট করেই শুরু হয়েছিল। একটা ঘর সিকিউরিটি দিয়ে ভাড়ায় চালানো্ও আমাদের জন্য কষ্টকর ছিল। কিন্তু মনের আশা এবং সামাজিকতার দায়বদ্ধতা বলে কথা। রোজার ঈদের বেতন বোনাস দিয়ে ঘরের সিকিউরিটি, বুকসেলফ, টেবিল-চেয়ার, খাতা-কলমসহ আনুষঙ্গিক বিষয়-বস্তু সংগ্রহ করা হল। ছোটবেলা থেকে সংগ্রহ করা ১০০ বই নিয়েই শুরু হলো পাঠাগার। মাসিক ৫০০ টাকায় একজন গ্রন্থাগারিক ঠিক করা হলো। তিনি প্রতিদিন ৪ টা থেকে ৮ টা পর্যন্ত থাকবেন। একটি জাতীয় দৈনিকসহ ৫ টি মাসিক, একটি পাক্ষিক ও দুইটি সাপ্তাহিক পত্রিকা রাখার সিদ্ধান্ত হলো।
আমি রোজার ঈদের যে কয়দিন ছিলাম এলাকার পোলাপান ডেকে ডেকে নিয়মিত বসাতে শুরু
করলাম পাঠাগারে। প্রতিদিন নাস্তার একটা আয়োজন্ও রেখেছিলাম বিকেলে। এসব ছিল
ছেলে পেলেদের উৎসাহ দেয়ার জন্য। দেখলাম ভালই আসছে সবাই। বই টই ঘাটাঘাটি
করছে। পত্রিকা পড়ছে।
গত ঈদে বাড়িতে গিয়ে দেখি ২০/৫০ টাকা সদস্য ফি দিয়ে পাঠাগারের সদস্য হয়েছেন প্রায় ৩০ জন। তারা নিয়মিত বই পড়ছেন। পাঠাগারে আসছেন। প্রথম প্রথম একটু চিন্তিতই ছিলাম। কিছু মানুষ কানা ঘোষা শুরু করেছিলেন এই এলাকায় পাঠাগার চলার মতো প্লেস নেই। দেখবেন দুই দিনেই উঠে গেছে। তবে তাদের কথা সত্য হয়নি। এবং বেশ ভালই চলছে পাঠাগার। এলাকার অনেকেই সহযোগিতা করতে চাইছেন। সংগত কারণেই সেসবে হাত দেয়া হচ্ছে না।
পাঠাগারের বইয়ের মধ্যে বেশি আকর্ষণ জাফর ইকবালের কিশোর উপন্যাস। দ্বিতীয়তে আছে হুমায়ুন আহমেদ। সব ধরনের বই-ই রাখা হয়েছে। তবে চেষ্টা করেছি অশ্লীল কোনো বই না রাখতে।
শেষ কথা
স্যার আবদুল্লাহ আবু সাঈদ 'আলোকিত মানুষ চাই' শিরোনামে খুব স্বল্প পরিসরে শুরু করেন ভ্রাম্যমান পাঠাগার। আজ সেটা ৩০ বছর অতিক্রম করে ব্যাপক আকারে সফলতার পদ ছুঁয়েছে। আমাদের আশা আমরা এমন প্রজেক্ট নিয়ে আগাবো। অবহেলিত এলাকা ও গরীব মেধাবিদের কাছে পৌছে দেব পাঠ সামগ্রি। তারা অশ্লীলতা/নগ্ন বিনোদন ছেড়ে মানুষ তৈরিকারী সমাজ প্রতিষ্টার বিনোদন উপভোগ করবে।
ছবিতে বন্ধুঘর পাঠাগার
গত ঈদে বাড়িতে গিয়ে দেখি ২০/৫০ টাকা সদস্য ফি দিয়ে পাঠাগারের সদস্য হয়েছেন প্রায় ৩০ জন। তারা নিয়মিত বই পড়ছেন। পাঠাগারে আসছেন। প্রথম প্রথম একটু চিন্তিতই ছিলাম। কিছু মানুষ কানা ঘোষা শুরু করেছিলেন এই এলাকায় পাঠাগার চলার মতো প্লেস নেই। দেখবেন দুই দিনেই উঠে গেছে। তবে তাদের কথা সত্য হয়নি। এবং বেশ ভালই চলছে পাঠাগার। এলাকার অনেকেই সহযোগিতা করতে চাইছেন। সংগত কারণেই সেসবে হাত দেয়া হচ্ছে না।
পাঠাগারের বইয়ের মধ্যে বেশি আকর্ষণ জাফর ইকবালের কিশোর উপন্যাস। দ্বিতীয়তে আছে হুমায়ুন আহমেদ। সব ধরনের বই-ই রাখা হয়েছে। তবে চেষ্টা করেছি অশ্লীল কোনো বই না রাখতে।
শেষ কথা
স্যার আবদুল্লাহ আবু সাঈদ 'আলোকিত মানুষ চাই' শিরোনামে খুব স্বল্প পরিসরে শুরু করেন ভ্রাম্যমান পাঠাগার। আজ সেটা ৩০ বছর অতিক্রম করে ব্যাপক আকারে সফলতার পদ ছুঁয়েছে। আমাদের আশা আমরা এমন প্রজেক্ট নিয়ে আগাবো। অবহেলিত এলাকা ও গরীব মেধাবিদের কাছে পৌছে দেব পাঠ সামগ্রি। তারা অশ্লীলতা/নগ্ন বিনোদন ছেড়ে মানুষ তৈরিকারী সমাজ প্রতিষ্টার বিনোদন উপভোগ করবে।
ছবিতে বন্ধুঘর পাঠাগার
বাইরে থেকে বন্ধুঘর পাঠাগার...
ভেতরে ঢোকার পর... গোছানো টেবিল
দেয়ালে টানানো দুইটা ফেস্টুন...
দুইজন পাঠক, মশিউর রহমান ও আরিফুল ইসলাম...
বই ভর্তি তাক
পড়ায় মগ্ন
ছোটদের আকর্ষণই বেশি, তবে চেয়ার পায় না তারা.. আসাদ ও ইব্রাহিম
আরো ছবি দেখতে ছবি গ্যালারিতে ঢুকুন....







No comments:
Post a Comment
ভালো লাগা রইল... অনেক ধন্যবাদ