রোকন রাইয়ান : গত কয়েক সপ্তাহজুড়ে দেশের সবচে’ আলোচিত ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে টিপাইমুখ। কথায়, মোবাইল, সভা-সেমিনার, মানববন্ধন, ফেসবুক, ইন্টারনেটসহ যাবতীয় মাধ্যমে সকলের একটাই কথা ‘টিপাইবাঁধ রুখো’। সে আওয়াজ প্রশাসনের দেয়াল ফঁসকে বেড়িয়ে যাওয়ার কথা নয়। কিন্তু দেশের লাখ লাখ মানুষের প্রাণের এই দাবিকে উপেক্ষা করে কেনো সরকার নীরব তা কেবল একটি বৃহৎ প্রশ্ন দেশপ্রেমী জনতার কাছে। এদিকে বিরোধী দল ব্যস্ত পরবর্তি নির্বাচনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বহালের দাবিতে। তাহলে টিপাইবাঁধ শেষ পর্যন্ত হয়েই যাচ্ছে? এমন আশা নিরাশার ভেতরই দুলছে দেশের বর্তমান অবস্থা। এর আগে ফারাক্কার বাঁধ বাংলাদেশকে প্রায় মৃতই বানিয়ে দিয়েছে। সচেতন জনতা তাই যে কোনো মূল্যেই চান না টিপাইমুখ বাঁধ হোক। প্রতিদিনই চোখে পড়ছে এই নিয়ে মিছিল আর মানববন্ধন। আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী নির্ভর দল ছাড়া সবাই এই নিয়ে লাগাতার কর্মসূচি পালন করছে।
টিপাইমুখ বাঁধ হলে বাংলাদেশ এক ভয়ঙ্কর হুমকির সম্মুখিন হবে। বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, টিপাইমুখ বাঁধ হবে বাংলাদেশের সাক্ষাৎ যম, ফারাক্কার চেয়েও ভয়াবহ এক বিপর্যয়। এই বাঁধ নির্মাণের চুক্তি হওয়ায় মণিপুর, মিজোরাম, আসাম রাজ্যসহ গোটা উত্তর-পূর্ব ভারতের কোটি কোটি মানুষ এবং বাংলাদেশের ১৬ কোটি দেশপ্রেমিক মানুষ উদ্বেগ ও আতঙ্কের মধ্যে আছেন। তারা প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।
কিন্তু কোনো উদ্বেগ বা উৎকণ্ঠা নেই শুধু বাংলাদেশের সরকারের মধ্যে। এই বাঁধের বিষয়ে তারা একেবারেই নির্বিকার ও চুপচাপ। এ ব্যাপারে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, ‘এটা ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এ নিয়ে সরকারের কিছু করার নেই।’ সরকারের নীতিনির্ধারক মহলে এ ধরনের মন্তব্যের কারণে মানুষের মধ্যে ক্ষোভ, উদ্বেগ ও আতঙ্ক ক্রমেই বাড়ছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, বরাক নদীতে একটি বাঁধ নির্মাণের প্রাথমিক ধারণা করা হয় ১৯৫৫ সালে মণিপুরের ময়নাধর অঞ্চলে। এরপর ১৯৬৪ সালে নারায়ণধর, এরপর ভুবনধরে এই বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা করা হলেও তা পরিবর্তন করা হয়। ১৯৮০ সালে বাঁধের স্থান নির্ধারণ করা হয় বর্তমান স্থান টিপাইমুখ এলাকায়। ভারতের মণিপুর রাজ্যের তুইভাই ও তুইরয়ং নদী দুটির মিলিত স্রোতধারার নাম বরাক।
স্বার্থপর বন্ধু ভারত : ১৯৯৯ সালে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার ও মণিপুর রাজ্য সরকারের মধ্যে বাঁধ নির্মাণের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশ ও ভারতের বিশেষজ্ঞরা টিপাইমুখ বাঁধের ক্ষতিকর দিক তুলে ধরেন। বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞ ও দেশপ্রেমিক সচেতন মানুষ এর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে লংমার্চ, বিক্ষোভ ও সভা-সমাবেশ করে, যার প্রেক্ষিতে দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন বৈঠকে ভারত বরাবরই প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছিল, বাংলাদেশের জন্য ক্ষতিকর হয় এমন কিছু তারা করবে না। সর্বশেষ গত সেপ্টেম্বর মাসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বাংলাদেশ সফরের সময়ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তৃতাকালে টিপাইমুখ প্রকল্প বাস্তবায়নসহ বাংলাদেশের জন্য ক্ষতি হয় এমন কিছু করবে না বলে প্রতিশ্রুতি দেন।
এছাড়া সর্বশেষ ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে মালদ্বীপে অনুষ্ঠিত সার্ক শীর্ষ সম্মেলনেও একই প্রতিশ্রুতি দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু বাংলাদেশের সব প্রতিবাদ উপেক্ষা করে গত ২২ অক্টোবর বাঁধটি নির্মাণের জন্য ত্রিপক্ষীয় বিনিয়োগ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে নয়াদিল্লিতে। কিন্তু এতসব প্রতিশ্রুতির পরও টিপাইমুখ বাঁধ হতে দেখে জনগণ এখন ঠিকই বুঝেছে ভারত যে স্বার্থপর এক বন্ধু এবং এতদিন তারা কেবল আমাদের মুলো দেখিয়েছে।
ভয়াবহ ক্ষতির সম্মুখিন হবে বাংলাদেশ : টিপাইমুখ বাঁধ ও পানি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হলে বাংলাদেশের অপূরণীয় ক্ষতি হবে। এ বিষয়ে জাতিসংঘের সাবেক কর্মকর্তা আন্তর্জাতিক পানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. এসআই খান মিডিয়াকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘টিপাইমুখ বাঁধ হবে বাংলাদেশের জন্য ভয়াবহ বিপর্যয়। টিপাইমুখ বাঁধ নির্মিত হলে সুরমা, কুশিয়ারাসহ মেঘনা অববাহিকার নদীগুলো সব মরে যাবে। চার কোটির বেশি মানুষের জীবন-জীবিকা ধ্বংস হবে।’
টিপাইমুখ বাঁধের ফলে বাংলাদেশের কৃষি উৎপাদন ব্যাপক হারে কমে যাবে। বাংলাদেশর উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বৃহত্তর সিলেট, ময়মনসিংহ ও কুমিল্লাসহ ১২টি জেলা সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের জীববৈচিত্র্য ও আবহাওয়ার পরিবর্তন হবে। এতে বাংলাদেশের জনগণ ব্যাপকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হবে। ফারাক্কা বাঁধের কারণে যেমন বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলসহ গোটা এলাকা মরুভূমিতে পরিণত হয়েছে তেমনি টিপাইমুখ বাঁধ ও পানি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হলে সারাদেশই বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে। এ ব্যাপারে দেশের পানি বিশেষজ্ঞ ও পরিবেশ বিজ্ঞানীসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা দেশবাসীকে অবহিত করে আসছেন। সুতরাং জীবন থাকতে ভয়ঙ্কর এ বাঁধ হতে দিবে না বাংলার জনগণ। রুখে দাঁড়াতে প্রাচীরের মতো এমনটাই দেশপ্রেমীদের বিশ্বাস।
টিপাইমুখ বাঁধ হলে বাংলাদেশ এক ভয়ঙ্কর হুমকির সম্মুখিন হবে। বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, টিপাইমুখ বাঁধ হবে বাংলাদেশের সাক্ষাৎ যম, ফারাক্কার চেয়েও ভয়াবহ এক বিপর্যয়। এই বাঁধ নির্মাণের চুক্তি হওয়ায় মণিপুর, মিজোরাম, আসাম রাজ্যসহ গোটা উত্তর-পূর্ব ভারতের কোটি কোটি মানুষ এবং বাংলাদেশের ১৬ কোটি দেশপ্রেমিক মানুষ উদ্বেগ ও আতঙ্কের মধ্যে আছেন। তারা প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।
কিন্তু কোনো উদ্বেগ বা উৎকণ্ঠা নেই শুধু বাংলাদেশের সরকারের মধ্যে। এই বাঁধের বিষয়ে তারা একেবারেই নির্বিকার ও চুপচাপ। এ ব্যাপারে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, ‘এটা ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এ নিয়ে সরকারের কিছু করার নেই।’ সরকারের নীতিনির্ধারক মহলে এ ধরনের মন্তব্যের কারণে মানুষের মধ্যে ক্ষোভ, উদ্বেগ ও আতঙ্ক ক্রমেই বাড়ছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, বরাক নদীতে একটি বাঁধ নির্মাণের প্রাথমিক ধারণা করা হয় ১৯৫৫ সালে মণিপুরের ময়নাধর অঞ্চলে। এরপর ১৯৬৪ সালে নারায়ণধর, এরপর ভুবনধরে এই বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা করা হলেও তা পরিবর্তন করা হয়। ১৯৮০ সালে বাঁধের স্থান নির্ধারণ করা হয় বর্তমান স্থান টিপাইমুখ এলাকায়। ভারতের মণিপুর রাজ্যের তুইভাই ও তুইরয়ং নদী দুটির মিলিত স্রোতধারার নাম বরাক।
স্বার্থপর বন্ধু ভারত : ১৯৯৯ সালে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার ও মণিপুর রাজ্য সরকারের মধ্যে বাঁধ নির্মাণের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশ ও ভারতের বিশেষজ্ঞরা টিপাইমুখ বাঁধের ক্ষতিকর দিক তুলে ধরেন। বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞ ও দেশপ্রেমিক সচেতন মানুষ এর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে লংমার্চ, বিক্ষোভ ও সভা-সমাবেশ করে, যার প্রেক্ষিতে দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন বৈঠকে ভারত বরাবরই প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছিল, বাংলাদেশের জন্য ক্ষতিকর হয় এমন কিছু তারা করবে না। সর্বশেষ গত সেপ্টেম্বর মাসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বাংলাদেশ সফরের সময়ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তৃতাকালে টিপাইমুখ প্রকল্প বাস্তবায়নসহ বাংলাদেশের জন্য ক্ষতি হয় এমন কিছু করবে না বলে প্রতিশ্রুতি দেন।
এছাড়া সর্বশেষ ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে মালদ্বীপে অনুষ্ঠিত সার্ক শীর্ষ সম্মেলনেও একই প্রতিশ্রুতি দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু বাংলাদেশের সব প্রতিবাদ উপেক্ষা করে গত ২২ অক্টোবর বাঁধটি নির্মাণের জন্য ত্রিপক্ষীয় বিনিয়োগ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে নয়াদিল্লিতে। কিন্তু এতসব প্রতিশ্রুতির পরও টিপাইমুখ বাঁধ হতে দেখে জনগণ এখন ঠিকই বুঝেছে ভারত যে স্বার্থপর এক বন্ধু এবং এতদিন তারা কেবল আমাদের মুলো দেখিয়েছে।
ভয়াবহ ক্ষতির সম্মুখিন হবে বাংলাদেশ : টিপাইমুখ বাঁধ ও পানি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হলে বাংলাদেশের অপূরণীয় ক্ষতি হবে। এ বিষয়ে জাতিসংঘের সাবেক কর্মকর্তা আন্তর্জাতিক পানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. এসআই খান মিডিয়াকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘টিপাইমুখ বাঁধ হবে বাংলাদেশের জন্য ভয়াবহ বিপর্যয়। টিপাইমুখ বাঁধ নির্মিত হলে সুরমা, কুশিয়ারাসহ মেঘনা অববাহিকার নদীগুলো সব মরে যাবে। চার কোটির বেশি মানুষের জীবন-জীবিকা ধ্বংস হবে।’
টিপাইমুখ বাঁধের ফলে বাংলাদেশের কৃষি উৎপাদন ব্যাপক হারে কমে যাবে। বাংলাদেশর উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বৃহত্তর সিলেট, ময়মনসিংহ ও কুমিল্লাসহ ১২টি জেলা সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের জীববৈচিত্র্য ও আবহাওয়ার পরিবর্তন হবে। এতে বাংলাদেশের জনগণ ব্যাপকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হবে। ফারাক্কা বাঁধের কারণে যেমন বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলসহ গোটা এলাকা মরুভূমিতে পরিণত হয়েছে তেমনি টিপাইমুখ বাঁধ ও পানি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হলে সারাদেশই বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে। এ ব্যাপারে দেশের পানি বিশেষজ্ঞ ও পরিবেশ বিজ্ঞানীসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা দেশবাসীকে অবহিত করে আসছেন। সুতরাং জীবন থাকতে ভয়ঙ্কর এ বাঁধ হতে দিবে না বাংলার জনগণ। রুখে দাঁড়াতে প্রাচীরের মতো এমনটাই দেশপ্রেমীদের বিশ্বাস।
ভারতের পানি আগ্রাসন : দেশজুড়ে ইসলামী দলগুলোর সরব আন্দোলন
টিপাইমুখ
বাঁধের সঙ্গে দেশের স্বার্থ জড়িত। ভাগ্য জড়িত বাংলার লাখো মানুষের। তারা
চান না দেশ মরুভূমি হোক। তেমনি চাননা দেশপ্রেমী ইসলামী দলগুলো। তারা এ
বাঁধের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়তই সভা-সেমিনার মানববন্ধনসহ বিভিন্ন আন্দোলন করে
যাচ্ছেন।
টিপাইমুখ বাঁধের বিরুদ্ধে এক বিবৃতিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ রেজাউল করীম পানি সম্পদ মন্ত্রীর ভারতের সাফাই গাওয়া বক্তব্যে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, ‘টিপাইমুখ বাঁধ ভারতের নিজস্ব ব্যাপার, আমাদের করার কিছু নেই’ বক্তব্য দিয়ে ভারতের তাঁবেদারী করেছে। টিপাইমুখ বাঁধ এটা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার নয়, এটা পানি আগ্রাসনের সামিল এবং আন্তর্জাতিক আইন পরিপন্থি। পানি সম্পদ মন্ত্রী এর আগেও ভারতের পক্ষে সাফাই গেয়ে পার পেয়ে গেছেন। এই পানি সম্পদ মন্ত্রী দিয়ে দেশের স্বার্থ রক্ষা করা যাবে না। কাজেই পানি সম্পদ মন্ত্রীকে অবিলম্বে অপসারণ করতে হবে। ভারতের পদলেহন করে দেশপ্রেমিক ঈমানদার জনতার স্বার্থের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে কেউ টিকেনি, এই মন্ত্রী এমপিরাও টিকবে না। তিনি বলেন, সরকারের ভারত তোষণ নীতির ফলে ভারতের অনৈতিক কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করতে পারছে না। টিপাইমুখ বাঁধ বাংলাদেশের বাঁচা-মরার প্রশ্ন। ৩০ বছরের ব্যবধানে দেশ বিরাণভূমিতে পরিণত হবে। কাজেই টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণ করার উদ্যোগ নিলে এবং সরকার ভারতের এই অবৈধ কর্মকান্ডের প্রতিবাদ না করলে দেশের বৃহত্তর জনতা আওয়ামী সরকারের বিরুদ্ধে গণআন্দোলন গড়ে তুলবে। এ ছাড়া আর কোন পথ খোলা নেই।
উল্লেখ্য ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ টিপাইমুখ বাঁধের প্রতিবাদে ২৫ নভেম্বর এক প্রেস ব্রিফিংয়ে আগামী কয়েক দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে। এর মধ্যে ২ ডিসেম্বর ঢাকায় প্রতিবাদ সমাবেশ, ৮ ডিসেম্বর দেশব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশ, ১৫ ডিসেম্বর ভারতীয় দূতাবাস অভিমূখে মিছিল ও স্মারকলিপি পেশ, ৯-৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিভাগীয় শহরে সমাবেশ, ৯ ডিসেম্বর খুলনায় সমাবেশ, ১৩ ডিসেম্বর বরিশালে সমাবেশ, ১৯ ডিসেম্বর সিলেটে সমাবেশ, ২৩ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে সমাবেশ, ২৮ ডিসেম্বর রাজশাহী বিভাগের বগুড়ায় সমাবেশ এবং ২৯ ডিসেম্বর রংপুর বিভাগের রংপুরে সমাবেশ।
টিপাইমুখ বাঁধের বিরুদ্ধে এক বিবৃতিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ রেজাউল করীম পানি সম্পদ মন্ত্রীর ভারতের সাফাই গাওয়া বক্তব্যে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, ‘টিপাইমুখ বাঁধ ভারতের নিজস্ব ব্যাপার, আমাদের করার কিছু নেই’ বক্তব্য দিয়ে ভারতের তাঁবেদারী করেছে। টিপাইমুখ বাঁধ এটা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার নয়, এটা পানি আগ্রাসনের সামিল এবং আন্তর্জাতিক আইন পরিপন্থি। পানি সম্পদ মন্ত্রী এর আগেও ভারতের পক্ষে সাফাই গেয়ে পার পেয়ে গেছেন। এই পানি সম্পদ মন্ত্রী দিয়ে দেশের স্বার্থ রক্ষা করা যাবে না। কাজেই পানি সম্পদ মন্ত্রীকে অবিলম্বে অপসারণ করতে হবে। ভারতের পদলেহন করে দেশপ্রেমিক ঈমানদার জনতার স্বার্থের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে কেউ টিকেনি, এই মন্ত্রী এমপিরাও টিকবে না। তিনি বলেন, সরকারের ভারত তোষণ নীতির ফলে ভারতের অনৈতিক কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করতে পারছে না। টিপাইমুখ বাঁধ বাংলাদেশের বাঁচা-মরার প্রশ্ন। ৩০ বছরের ব্যবধানে দেশ বিরাণভূমিতে পরিণত হবে। কাজেই টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণ করার উদ্যোগ নিলে এবং সরকার ভারতের এই অবৈধ কর্মকান্ডের প্রতিবাদ না করলে দেশের বৃহত্তর জনতা আওয়ামী সরকারের বিরুদ্ধে গণআন্দোলন গড়ে তুলবে। এ ছাড়া আর কোন পথ খোলা নেই।
উল্লেখ্য ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ টিপাইমুখ বাঁধের প্রতিবাদে ২৫ নভেম্বর এক প্রেস ব্রিফিংয়ে আগামী কয়েক দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে। এর মধ্যে ২ ডিসেম্বর ঢাকায় প্রতিবাদ সমাবেশ, ৮ ডিসেম্বর দেশব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশ, ১৫ ডিসেম্বর ভারতীয় দূতাবাস অভিমূখে মিছিল ও স্মারকলিপি পেশ, ৯-৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিভাগীয় শহরে সমাবেশ, ৯ ডিসেম্বর খুলনায় সমাবেশ, ১৩ ডিসেম্বর বরিশালে সমাবেশ, ১৯ ডিসেম্বর সিলেটে সমাবেশ, ২৩ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে সমাবেশ, ২৮ ডিসেম্বর রাজশাহী বিভাগের বগুড়ায় সমাবেশ এবং ২৯ ডিসেম্বর রংপুর বিভাগের রংপুরে সমাবেশ।
ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মুফতি ফজলুল হক আমিনী টিপাইমুখ
বিষয়ে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসেছে ভারতের
স্বার্থরক্ষার জন্য, এ দেশের স্বার্থরক্ষা তাদের উদ্দেশ্য নয়। তাই
বাংলাদেশের স্বার্থ নষ্ট হলে তাদের কোনো কিছু আসে যায় না। তিনি বলেন,
বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে ভারতের হাতে তুলে দিতে চান।
এজন্যই সরকার ভারতকে ট্রানজিটসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে মরিয়া
হয়ে উঠেছে। ভারত টিপাইমুখে বাঁধ দেয়ার উদ্যোগ নিলেও তার কোনো প্রতিবাদ
করেনি সরকার। এতে প্রমাণিত হয়, বাংলাদেশের মানুষের পানি পাওয়া না পাওয়া
নিয়ে তাদের কোনো চিন্তা নেই। তিনি বলেন, বর্তমান আওয়ামী সরকার ক্ষমতায়
থাকতে টিপাইমুখে বাঁধ হবেই। তাই এ বাঁধ বন্ধে এ সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরাতে
হবে। এ অবস্থায় দেশবাসীর জন্য আর চুপ করে বসে থাকার সুযোগ নেই।
খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং সম্প্রতি বলেছেন, বাংলাদেশের ক্ষতি হয় এমন কোনো কাজ আমরা করব না। অথচ এখন তার সে কথার সম্পূর্ণ উল্টো কাজ হচ্ছে। তার কথার অর্থ পাল্টে হয়েছে, বাংলাদেশের ক্ষতি হয় এমন সবই করব। তিনি বলেন, ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে কোনো ওয়াদাই পূরণ করেনি। তারা সব সময় ধোঁকা দিয়েছে। বর্তমান নতজানু আওয়ামী লীগ সরকারের কারণে তাদের সেই ধোঁকাবাজি আরও বেড়েছে। তিনি বলেন, ভারত টিপাইমুখে বাঁধ দিলে সুরমা-কুশিয়ারাসহ অনেক নদী ধ্বংস হবে। অথচ এ বিষয়ে সরকারের কোনো প্রতিক্রিয়া নেই। আসলে বর্তমান সরকার দেশের স্বার্থবিরোধী কাজে লিপ্ত। এরাই রাষ্ট্রদ্রোহী শক্তি।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের নেতারা টিপাইমুখ বাঁধের প্রতিবাদ করে এক যৌথ বিবৃতিতে দিয়েছেন। বিবৃতিতে তারা বলেছেন, টিপাইমুখে বাঁধ হলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবে সিলেট। এ ব্যাপারে সরকারের নিরবতা দুঃখজনক। তাই দেশ বিরোধী এই বাঁধের বিরুদ্ধে দেশপ্রেমিক জনতাকে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে। এব্যাপারে সচেতন হয়ে সরকারকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বিবৃতিদাতারা হলেন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের নির্বাহী সভাপতি মাওলানা মুহিউদ্দীন খান, সভাপতি আল্লামা আব্দুল মোমিন শায়খে ইমামবাড়ী, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব সাবেক সংসদ সদস্য এডভোকেট মাওলানা শাহীনুর পাশা চৌধুরী, যুব জমিয়তের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মুফতি নোমান সিদ্দিক, জেলা জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আতাউর রহমান, যুব জমিয়ত বাংলাদেশ সিলেট জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং সম্প্রতি বলেছেন, বাংলাদেশের ক্ষতি হয় এমন কোনো কাজ আমরা করব না। অথচ এখন তার সে কথার সম্পূর্ণ উল্টো কাজ হচ্ছে। তার কথার অর্থ পাল্টে হয়েছে, বাংলাদেশের ক্ষতি হয় এমন সবই করব। তিনি বলেন, ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে কোনো ওয়াদাই পূরণ করেনি। তারা সব সময় ধোঁকা দিয়েছে। বর্তমান নতজানু আওয়ামী লীগ সরকারের কারণে তাদের সেই ধোঁকাবাজি আরও বেড়েছে। তিনি বলেন, ভারত টিপাইমুখে বাঁধ দিলে সুরমা-কুশিয়ারাসহ অনেক নদী ধ্বংস হবে। অথচ এ বিষয়ে সরকারের কোনো প্রতিক্রিয়া নেই। আসলে বর্তমান সরকার দেশের স্বার্থবিরোধী কাজে লিপ্ত। এরাই রাষ্ট্রদ্রোহী শক্তি।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের নেতারা টিপাইমুখ বাঁধের প্রতিবাদ করে এক যৌথ বিবৃতিতে দিয়েছেন। বিবৃতিতে তারা বলেছেন, টিপাইমুখে বাঁধ হলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবে সিলেট। এ ব্যাপারে সরকারের নিরবতা দুঃখজনক। তাই দেশ বিরোধী এই বাঁধের বিরুদ্ধে দেশপ্রেমিক জনতাকে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে। এব্যাপারে সচেতন হয়ে সরকারকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বিবৃতিদাতারা হলেন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের নির্বাহী সভাপতি মাওলানা মুহিউদ্দীন খান, সভাপতি আল্লামা আব্দুল মোমিন শায়খে ইমামবাড়ী, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব সাবেক সংসদ সদস্য এডভোকেট মাওলানা শাহীনুর পাশা চৌধুরী, যুব জমিয়তের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মুফতি নোমান সিদ্দিক, জেলা জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আতাউর রহমান, যুব জমিয়ত বাংলাদেশ সিলেট জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা নজরুল ইসলাম প্রমুখ।


thanks
ReplyDeleteব্লগটা সুন্দর হয়েছে । তবে Dashboard >>Settings>>Formatting এ ক্লিক করে ৭ বা তার কম করে দিন আর days এর বদলে post সিলেক্ট করুন । দেন নিচে গিয়ে সেভ করুন । নচেত মূল পেজ অনেক বড় হয়ে যায় ।
ReplyDeleteঅনেক ধন্যবাদ বোরহানিস ভাই...
ReplyDelete